Introduction To Different Gasses |
Introduction To Different Gasses
আজকের আলোচনা Introduction to different gases সমন্ধে । আমাদের বায়ুমণ্ডলে অনেক ধরনের গ্যাস রয়েছে। অনেক গ্যাস রয়েছে যে গুলো আমাদের পরিচিত, আবার অনেক গ্যাস সমন্ধে আমরা জানিনা। আজকে সেই সব গ্যাসের নাম ও তাদের ব্যবহার জানবো। পৃথিবীর মধ্যে এবং তার বাইরে অনেক ধরনের গ্যাস রয়েছে। কোন গ্যাস গুলো কোথায়, কি ভাবে, আমরা ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং দেরী না করে তাড়াতাড়ি দেখে নাও।
গ্যাসের পরিচয়::
তরল, কঠিন এবং প্লাজমা সহ পদার্থের চারটি প্রাকৃতিক অবস্থার মধ্যে একটি হল গ্যাস। একটি গ্যাসের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি বা আয়তন নেই। তাদের যে পাত্রে রাখা হয় তার আকৃতি ধরে নেয়। আদর্শ গ্যাস একটি অনুমানিক গ্যাস, যার মানে বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটি নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো অনেক গ্যাসের মিশ্রণ হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। কয়েকটি গ্যাসের পরিচয় নিচে দেওয়া হল-
Images Source by oxygen-plants.com |
• অক্সিজেন [Oxygen]:-
∆চিহ্ন: O। (অক্সিজেনের একটি পরমাণু বোঝায়)
∆সংকেত: O। (অক্সিজেনের একটি অণু বোঝায়। ∆অক্সিজেনের একটি অণু দুটি পরমাণু দ্বারা গঠিত)
∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: 20-90%
∆প্রস্তুতি: পটাশিয়াম ক্লোরেট ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণ কম উষ্ণতায় অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।
∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: অক্সিজেন বর্ণহীন, স্বাদহীন এবং গন্ধহীন। বাতাসের চেয়ে সামান্য ভারী। জলে সামান্য প্রবীভূত হয়,শ্বাসকার্যে সাহায্য করে। রাসায়নিক ধর্ম: অক্সিজেন দহনে সাহায্য করে কিন্তু নিজে দাহ্য নয়। তিনটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে একটি ওজোন গ্যাসের অণু গঠিত হয়।
∆ব্যবহার: প্রাণিজগতের অস্তিত্বের মূলে এই গ্যাস। সমগ্র জীবিত প্রাণীর শ্বাসকার্য চলে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে।
Images Source by innovation |
• হাইড্রোজেন [Hydrogen]:-
∆চিহ্ন: H
∆সংকেত: H₂
∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: খুবই সামান্য।
∆প্রস্তুতি: সাধারণ তাপমাত্রায় উলফ বোতলে জিঙ্কের ছিবড়া ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড বিক্রিয়া করে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।
∆ধর্ম ভৌত ধর্ম: বিশুদ্ধ হাইড্রোেেজন গ্যাস বর্ণহীন, স্বাদহীন ও গন্ধহীন। জলে প্রায় অদ্রাব্য। সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেন।
রাসায়নিক ধর্ম: হাইড্রোজেন গ্যাস নিজে দাহ্য কিন্তু দহনে সহায়তা করে না। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসের মিশ্রণকে অগ্নি সংযোগ করলে বিস্ফোরণ ঘটে।
∆ব্যবহার: পরীক্ষাগারে বিজারকরূপে, ঝালাইয়ের কাজে অক্সি-হাইড্রোজেন শিখা উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়।
Images Source by online-sciences.com |
• কার্বন ডাই-অক্সাইড [Carbon dioxide]:-
∆সংকেত: CO₂ (দুটি অধাতুর মধ্যে যদি একটি কঠিন হয় তবে কঠিন মৌলের চিহ্নটি প্রথমে বসে। এখানে কার্বন কঠিন প্রথমে বসেছে, অক্সিজেন গ্যাস পরে বসেছে)।
∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: খুব সামান্য 0.03%।
∆প্রস্তুতি: সাধারণ তাপমাত্রায় মার্বেল পাথর (ক্যালসিয়াম কার্বনেট) ও লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া দ্বারা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। বাতাসের উর্ধ্ব-অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।
∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: বর্ণহীন, গন্ধহীন, সামান্য অম্লস্বাদযুক্ত।জলে দ্রাব্য।
রাসায়নিক ধর্ম: কার্বন ডাই-অক্সাইড একটি আম্লিক অক্সাইড তাই জলে দ্রবীভূত হয়ে অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
∆ব্যবহার: শুষ্ক বরফ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
•অ্যামোনিয়া [NH]:-
∆প্রস্তুতি: অ্যামোনিয়াম লবণের সঙ্গে ক্ষারক জাতীয় পদার্থ (যেমন: অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও কলিচুন) উত্তপ্ত করল অ্যামেনিয়া গ্যস উৎপন্ন হয়।
∆ধর্ম:এই গ্যাস বর্ণহীন, ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। জলে অত্যন্ত দ্রাব্য। এই গ্যাস ক্ষারধর্মী।
∆ব্যবহার: সার প্রস্তুতিতে এই গ্যাস প্রচুর ব্যবহার করা হয়।
•নাইট্রোজেন [Nitrogen]:-
∆চিহ্ন: N
∆সংকেত: N₂
∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: 78%
∆প্রস্তুতি: তরল বায়ু থেকে পাতন প্রক্রিয়ায় এই গ্যাস সংগ্রহ করা যায়।
∆ধর্ম: স্বাদহীন, বর্ণহীন, গন্ধহীন, অধাতব গ্যাস।
∆ব্যবহার: অ্যামোনিয়া সার, নাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুত করতে, তরল নাইট্রোজেন ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়।
•হাইড্রোজেন সালফাইড [Hydrogen Sulphide]:-
∆সংকেত: H₂S
∆প্রস্তুতি: ফেরাস সালফাইড ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।
∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: কর্ণহীন, পচা ডিমের মত গন্ধবিশিষ্ট গ্যাস, বাতাসের চেয়ে ভারী, ঠাণ্ডা জলে দ্রাব্য কিন্তু গরম জলে অদ্রাব্য, বিষাক্ত গ্যাস।
রাসায়নিক ধর্ম: এর জলীয় দ্রবণ অ্যাসিড উৎপন্ন করে। এই গ্যাসের প্রভাবে চোখ, নাক, গলা জ্বালা করে, মাথা ধরা, ঝিমুনি ভাবের সৃষ্টি হয়। কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়।বাতাসে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের উপস্থিতিতে সাদা লেড অক্সাইড কালো লেড সালফাইডে পরিণত হয়ে তৈলচিত্রটিকে কালো করে দেয়।
ধন্যবাদ সকলকে, আশাকরি উপরের দেওয়া Introduction to different gasses তথ্যটি পড়ে নিয়েছো। বায়ুমন্ডলে কত ধরনের গ্যাস রয়েছে এবং সেই গ্যাসগুলো সমন্ধে আজকে আমরা জানলাম। বায়ুমণ্ডলে থাকা গাসগুলোর উপস্থিতির কারণে আমাদের জীবন ধারণকরা সম্ভব হয়েছে। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।
No comments:
Post a Comment