Breaking


Thursday, March 28, 2024

কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান | কম্পিউটার কি | What Is Computer

কম্পিউটার
কম্পিউটার 

কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান | কম্পিউটার কি | What Is Computer

কম্পিউটার কী?

কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক দ্রুতগতিসম্পন্ন জটিল ইলেকট্রনিক যন্ত্র (গণকযন্ত্র) যার উৎপত্তি ইংরেজি শব্দ Compute থেকে। যা সংশ্লিষ্ট বিবিধ যন্ত্রাদির সহযোগিতায় সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ইনফরমেশন তৈরি করে। তথ্যকে প্রয়োজন মতো কাজে লাগায়। দক্ষতার সঙ্গে এবং সঠিকভাবে কম্পিউটার পরিচালিত হলে মুহূর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিদীপ্ত ফলাফল আশা করা যায়।

কম্পিউটারের জনক কে?

ইংল্যান্ডের চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)।

কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা কী?

•সভ্যতার বিভিন্ন শাখায় কম্পিউটারের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স, ইন্টারনেট রিলে চ্যাট করার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন।

• শিল্পক্ষেত্র, ব্যাংক লেনদেন, রেল রিজার্ভেশন সিস্টেম, বিমান সেবা, টেলিফোন ইত্যাদির সহজ পরিষেবা সরল করার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন।

• পড়াশোনা, মনোরঞ্জন ইত্যাদির ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটার প্রয়োজন।

• বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা, ব্যবসা পরিচালনা, বিনোদন, অর্থনৈতিক ও পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কাজে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কম্পিউটারের পাঁচটি প্রজন্মের কারিগরি বৈশিষ্ট্য:

(১) প্রথম প্রজন্ম (১৯৪৬-১৯৫৯) ভ্যাকুয়াম টিউব।

(২) দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫) ট্রানজিস্টার নির্ভর।

(৩) তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১) ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের উপর ভিত্তি রাখে।

(৪) চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-২০১০) ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট নির্ভর। এতে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হয়।

(৫) পঞ্চম প্রজন্ম (২০১০- ভবিষ্যৎ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর। কম্পিউটার সরগরিত, স্মৃতিভান্ডার, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে চলেছে তার প্রতিটি নতুন প্রজন্মে।

বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটার:

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিদ্যুৎচালিত কম্পিউটার তৈরি হয়। আজ পর্যন্ত কম্পিউটার প্রযুক্তির বিকাশকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

১। প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার : ভ্যাকুয়াম টিউব হল প্রথম প্রজন্ম কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। EDSAC, EDVAC, Mark-1, ENIAC হল প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল-(ক) শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, (খ) আকারে বড় হয়, (গ) সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় না।

২। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার : ট্রানজিস্টার হল দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। IBM-1400, CDC-600, HONEY WELL-400 ইত্যাদি দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার। এর বৈশিষ্ট্য হল-(ক) প্রথম প্রজন্মের তুলনায় আকারে ছোট, (খ) একস্থান থেকে অন্যস্থানে সহজে নিয়ে যাওয়া যায় না, (গ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল ব্যয়সাপেক্ষ। 

৩। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার: ইনটিগ্রেটেড সার্কিট (IC) বা চিপ এবং লার্জ ইনটিগ্রেশান হল এই কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল- (ক) অতি দ্রুত তথ্যবিন্যাসের কাজ করতে পারে, (খ) এটি আকারে বেশ ছোট, গ) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যায় না, (ঘ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের খরচ ছিল তুলনামূলক কম। UNIVAC-9000, IBM-360 হল তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার।

৪। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার: মাইক্রো প্রসেসর বা ভেরি লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেশন হল এই কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল-(ক) তথ্যবিন্যাসের কাজ অতি দ্রুতগতিতে করতে পারে। (খ) এর উৎপাদন ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। (গ) আকারে খুবই ছোট এবং এর স্মৃতিভান্ডার বেশ বড়। IBM PC, Pentium PC, Apple Computer হল চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার

৫। পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার: আলট্রা লার্গ স্কেল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, যন্ত্রাংশগুলো আকারে ছোট, নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। বর্তমানের আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর কম্পিউটার। যার মাধ্যমে মানুষের মত বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট, চালকহীন গাড়ি চালানো ইত্যাদি কাজ করা হচ্ছে।

ইন্টারন্যাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো কী কী?

হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো হল-

র‍্যাম (Random Access Memory বা, RAM) হার্ড ডিক্স ড্রাইভ (Hard Disk Drive বা, HDD) ফ্লপি ডিক্স ড্রাইভ (Floppy Disk Drive বাঁ, FDD) সি ডি রম ড্রাইভ (Computer Diskette Read Only Memory বা, CDROM) সিপিইউ (Central Processing Unit বা, CPU), মাদার বোর্ড (Mother Board) .

এক্সটারনাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো কী কী?

এক্সটারনাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো হল-

প্রিন্টার, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, ডিজিট্যাল ক্যামেরা, ওয়েবক্যাম, স্পীকার, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (পেন ড্রাইভ), ডি ডি ডি (Digital Versatile Disc), এক্সটারনাল হার্ড ডিস্ক, সি ডি ইত্যাদি।

কম্পিউটারের গঠন:

বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী একক নিয়ে হার্ডওয়্যার গঠিত হয় এবং হার্ডওয়্যারগুলিকে একত্রিত করে পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার গঠিত হয়।

অনুপ্রবেশ অংশ (Input Unit), সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এবং নির্গমণ অংশ (Output Device) হল কম্পিউটারের মূল তিনটি অংশ।

সিপিইউ CPU (Processor) কী?

সি পি ইউ-এর পুরো কথাটি হল Central Processing Unit। এটি একটি জটিলতম যন্ত্রাংশ যা মুহূর্তের মধ্যে গণনা থেকে আরম্ভ করে যেকোনো নির্দেশ সম্পন্ন করে ফেলে নির্ভুল এবং নিপুণভাবে। এ যেন অনেকটা মানুষের মস্তিষ্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনট্রেট্ল (Intel) কর্পোরেশন সি পি ইউ তৈরিতে জগৎ বিখ্যাত। একে 'মাইক্রো প্রসেসর'ও বলে।

সি পি ইউ-এর শক্তি নির্ধারণ হয় ক্লক্ স্পিড বা কম্পাঙ্কে। আধুনিক P-III 933 MHz থেকে P-IV 1.6 GHz বাজারে পাওয়া যায়। এখানে P-III মানে হল Pentium-III (প্রসেসর এর নাম)। 933 MHZ মানে 933×1000000 অর্থাৎ প্রায় সেকেন্ডে একশো কোটি গণনা করতে সক্ষম। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা শক্তিশালী এই সি পি ইউ। কে বলতে পারে আর কিছুদিন পরেই এইগুলো বাজারে আর পাওয়া যাবে না। এখন আরও শক্তিশালী সি পি ইউ এসে গেছে যেমন P4 1.6 GHz, এটি এক সেকেণ্ডে হাজার কোটি গণনা করতে সক্ষম। এখানে GHz হল গিগাহার্টজ। MHz হল মেগাহার্টজ। 1 MHz দশ লক্ষ হার্টজ। 1 GHz হল একশ কোটি হার্টজ।

কয়েকটি প্রোগ্রামিং ভাষা হল: 

25টিরও বেশি উচ্চতর প্রোগ্রামিং ভাষা আছে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রচলিত প্রোগ্রামিং ভাষা হল-FORTRAN, BASIC, LOGO, COBAL, PYTHON. এছাড়াও PASCAL, VB, C++, DBMS হল আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষার দৃষ্টান্ত। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ভাষা FORTRAN (FORmula TRANslation)। এটি 1954 সালে জন বাকাসের নেতৃত্বে IBM কোম্পানী তৈরি করে এবং 1956 সালে প্রথম বাজারে আসে।

র‍্যাম (RAM) কী?

র‍্যামের পুরো কথা হল Random Access Memory। একে মেন মেমরি বলে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এর দরকার হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে এর স্মৃতিকোষে যা ছিল মুছে যায়। সাধারণত এখন 64 MB/128 MB/256 MB. 2-4 GB RAM ইত্যাদি পাওয়া যায়।

আশাকরি উপরের দেওয়া কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান তথ্যটি পড়ে নিয়েছো।পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

No comments:

Post a Comment